কখনও ভাবিনি এত গুরুদায়িত্ব আমাকে নিতে হবে :শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি আমার জন্য নতুন কিছু ছিল না। স্কুল থেকে রাজনীতি করতাম। দেয়াল টপকে যেতাম মিছিলে, আন্দোলনে যোগ দিতাম। কলেজ জীবনে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম। কলেজে ছাত্রলীগ গড়ে তোলা, কলেজে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় আন্দোলন করেছি। কিন্তু কখনও ভাবিনি এত বড় সংগঠনের গুরুদায়িত্ব আমাকে নিতে হবে, নিতে পারব।
শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ক্ষমতায় বসে করা কোনো দল আওয়ামী লীগ নয়। বাংলার মানুষের যতোটুকু অর্জন সেটা আওয়ামী লীগের সময়ের। জাতির পিতা এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। এটাই ছিলো তার এক মাত্র লক্ষ্য। এই চিন্তার জায়গা থেকেই তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করে গেছেন। সংগ্রামের মধ্যদিয়ে তিনি অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী যদি পড়েন তাহলে আপনারা দেখতে পাবেন তিনি সারাজীবন কতোটা কষ্ট করে গেছেন। বারবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু তিনি কখনও মানুষের কল্যাণের পথ ছেড়ে যাননি। তিনি একটা লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি এনে দেবেন। আর তিনি ওই লক্ষ্যে এগিয়ে গেছেন এবং স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যিনি ত্যাগ করতে পারেন তিনি রাজনীতিতে সফল হতে পারেন, জাতির জন্য কাজ করতে পারেন। এটাই একজন সফল রাজনীতিবিদের চরিত্র। আর আওয়ামী লীগের নেতারা বারবার এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বারবার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসছে। কিন্তু জাতির পিতার হাতে গড়া এ সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে সফল হয়নি। রাজনীতি আমার জন্য নতুন নয়, তবুও আওয়ামী লীগ এতো বড় একটি দলের দায়িত্ব নিতে পারবো তা কখনও ভাবিনি। আওয়ামী লীগ আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যদি বেঁচে থাকতেন বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতে পারতো। কিন্তু ৭৫’র ১৫ আগস্টের কারণ সেটা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগের ওপর বারবার আঘারত এসছে। কিন্তু বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মাত্র এক দশক, এই এক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
- মতামত