শেষ পর্যন্ত মুদির দোকান দিলেন পরিচালক
করোনা সংক্রমণে শুধু স্বাস্থ্যই নয়, আক্রান্ত অর্থনীতিও ৷ লকডাউনে ক্ষতির মুখে বহু ইন্ডাস্ট্রি ৷ চরম আর্থিক ক্ষতিতে ভুগছে ফিল্ম দুনিয়া ৷ রোজগারের অভাবে শেষ পর্যন্ত মুদির দোকান দিলেন পরিচালক ৷
মৌনা মাজহাই, ওরু মাজহাই- এর মতো ছবি তার নির্দেশনায় তৈরি ৷ লকডাউনের কারণে আটকে অনেকগুলি প্রজেক্ট ৷ তামিল চলচ্চিত্র পরিচালক আনন্দের হাতে এখন নেই কোনও কাজও ৷ জীবনধারণের জন্য বাধ্য হয়ে চেন্নাইতে মুদির দোকান খুলে বসলেন তিনি ৷
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আনন্দ জানিয়েছেন, ‘লকডাউনে সকলেই গৃহবন্দি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত। তিনমাস ধরে বাড়িতে বন্দি, কাজের তো দরকার রয়েছেই, তাই ভাবলাম যদি কয়েকমাসের জন্য মুদিখানার দোকান দেওয়া যায় ৷
মুদিখানা অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলার পরিকল্পনা করতেই পাড়ার এক বন্ধুর থেকে ঘরভাড়া নেন তিনি ৷ সেই বন্ধুও জানতেন না আনন্দ কী করতে চলেছেন ৷ আনন্দ জানান, ”টানা বাড়িতে আটকে থাকতে ভালোও লাগছিল না, দেখলাম, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার যদিও মুদির দোকানদারী করার অভ্যাস নেই, তবুও অল্প পুঁজি নিয়েই বিনিয়োগ করি।’
ছবি পরিচালনা ছেড়ে মুদিখানা খোলায় লোকে অবাক হলেও পরিচালকের দোকানে ক্রেতার অভাব নেই ৷ সফল পরিচালকের এমন অবস্থা দেখে সাধারণ মানুষ থেকে সিনেমা জগতের সকলেই হতবাক ৷
- মতামত