বিস্তারিত

জনতা ব্যাংকের ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

banglanews24 ছবি : সংগ্রহকৃত

পণ্য আমদানির নামে এলসি খুলে জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার প্রধান আসামি টিপু সুলতানকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা থেকে খুলনায় এসে দুদকের বিশেষ টিম তাকে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে। বিকেলে তাকে সিএমএম আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের পরিচালক জায়েদ হোসেন খান। সঙ্গী ছিলেন উপ পরিচালক মো. সামছুল আলম ও জাহাঙ্গীর আলম। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় জনতা ব্যাংক থেকে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের মালিক টিপু সুলতানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম মামলাটি (মামলা নম্বর ২২) দায়ের করেন। রাজধানীর বিজয়নগরেই টিপু সুলতানের মালিকানাধীন ঢাকা ট্রেডিং হাউজ।

এ প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জনতা ব্যাংকের জিএম মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, সাবেক এজিএম শামীম আহমেদ খান, জনতা ব্যাংক লোকাল অফিসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মশিউর রহমান এবং লোকাল অফিসের সাবেক ম্যানেজার এ এস এম জহিরুল অফিসার। মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, চিনি ও বাচ্চাদের খাবার আমদানির নামে জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসে ঢাকা ট্রেডিং হাউজের অনুকূলে এলসি খোলেন মো. টিপু সুলতান। পরে সে এলসির বিপরীতে মালামাল আমদানি না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এ কোম্পানির হিসাব নাম্বারে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ টাকা স্থানান্তর করে। স্থানান্তরিত ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের বিভিন্ন সময়ে আসামিরা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেন; যা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়। পরে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে দ-বিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মারুফ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, জনতা ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়েরকৃত মামলার আসামী গ্রেপ্তারের জন্য দুদক সহযোগিতা চায়। সে অনুযায়ী তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়। টিপু সুলতানকে আটক করে দুদকের টিমের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

সংবাদের ধরন : র্শীষ সংবাদ নিউজ : স্টাফ রিপোর্টার